মুর্দাফরাশের ফসফরাস

অ্যাট দ্য জেনিথ। নরোম কয়েকটা ধ্বনি।

আনমনে অনেকবার, এই ধ্বনিগুলোয় মিশিয়ে দিয়েছি নিজেকে। অ্যাট দ্য জেনিথ। পল ক্রান্তৎজ বলেছিলো।

People are only truly happy once in their life. Just once. Then they are punished for it. For the rest of their life. The punishment is, they can never really forget that one moment.

I think its best to say goodbye at the right time. Namely when you're the happiest. At the Zenith.



পল ক্রান্তৎজের বইগুলো পুড়িয়ে ফেলেছিলো নাৎসিরা। হুমায়ুন আজাদের প্রবচনে লেখা আছে প্রতিটি দগ্ধ গ্রন্থ সভ্যতাকে নতুন আলো দেয়। সভ্যতার পাহারাদারেরা তাই আজকাল ঘন ঘন বই পোড়াতে ব্যস্ত, সভ্যতাকে আলোর বন্যায় ডুবিয়ে দিতে! যা আলো আছে তাতে হচ্ছে না, আরও আলো চাই! হুমায়ুন আজাদ তো বলেই গ্যাছেন বই পোড়ালেই আলো পাওয়া যায়!

কিন্তু আমি ওই ধ্বনিগুলোয় তাও বহুবার চুমুক দিয়েছি। ধ্বনিগুলোকে পান করেছি। অ্যাট দ্য জেনিথ!

পল ক্রান্তৎজের বইগুলো পড়া হয়নি আমার। কোনওদিনও চেষ্টাও করিনি খুঁজবার।

শর্টকাট জেনারেশনের সদস্য আমি, এটা নিয়ে পরিতাপেরও কোনও প্রয়োজন দেখি না। ডায়ানা আরবুসের ছবিগুলো গুগল খুলেও দ্যাখবার চেষ্টা করিনি, সিনেমাটাই দেখেছি কেবল। পল ক্রান্তৎজের সাথেও সাক্ষাৎ হয়েছিলো সিনেমাতেই। দশ বছর আগে।

দশ বছর আগেকার সেই রাশভারি ডেস্কটপে, সেদিন ইউটিউব ছিলো না, ডিভিডি প্লেয়ারে ডিস্ক চালিয়ে জোর করে যাকে তাকে বসিয়ে দিতাম সিনেমা দ্যাখাতে। সিনেমা'র ইমপ্রেশন সাহিত্যের চে' অনেক তীব্র, আত্মায় সেই বিশ্বাস ছিলো বলে।

সিনেমা বলতে এখন সাধারণত হাবিজাবিই বোঝায়, হাবিজাবিই বাঙালির কাছে সিনেমা ছিলো চিরদিন। মেইনস্ট্রীম নিয়ে শুচিবায়ুতায় ভুগতাম আমরা যখন, যেদিন আমরা স্বপ্ন দেখতে জানতাম - সেইসব দিন ইতিমধ্যে মুর্দাফরাশের ফসফরাস হয়ে গ্যাছে।

সবকিছুই তো মুর্দাফরাশের ফসফরাস! জুলহাজ ভাই জিগ্যেস করেছিলো, সবকিছুতে এত আর্ট খোঁজো ক্যানো?
উত্তরই দেয়া হয়নি। এড়িয়ে গিয়েছিলাম প্রশ্নটা। জুলহাজ ভাই খুন হয়ে গ্যাছে, আর কেউ জিগ্যেস করবারও নেই, ক্যানো সবকিছুতে এত আর্ট খুঁজি।

আর্ট ফিল্মই দেখি এখনও, কিন্তু কই, আজকে তো আর আর্ট খুঁজছি না! রক্তের বন্যায় অন্যায় দূর হয়ে যাচ্ছে। আজকাল প্রতিদিন সকাল শুরু হতে না হতেই রক্তের বন্যা শুরু হয়, সন্ধ্যা হতে না হতেই সমস্ত অন্যায় সেই বন্যায় বেমালুম ফুরুৎ হয়ে যায়! এত ন্যায়নিষ্ঠার ভজনের মধ্যে আর্ট যে ঢুকবে, সেই খিড়কি কই?

আর্ট ফিল্ম দেখতে বসলেও এখন আর কোনও প্রতীকের রহস্যে বুকে একটুও কাঁপন লাগে না। শুধু দৃশ্যগল্প দেখে যাই। মাঝে মাঝে ঝিমুনিও চলে আসে।

তনয় ভাই সেই দেবদাসের চন্দ্রমুখীর মার ডালা গানটার সাথে কি তুমুল নেচেছিলো সেইদিন! আরেকটা গান, কি যেন ছিলো? আল্লা আমার চক্ষে তুমি দাও না একটু ঘুম? এরকমই হবে কিছু একটা! জুলহাজ ভাইয়ের ড্রয়িংরুমটা সেদিন বাঈজীর নাচঘর। কেউ কল্পনাও করতে পেরেছিলো সেইদিন, ওই ঘরটায় একদিন রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়?

বাঙালির শ্লোগানবাজি তাও শেষ হয় না। কানের কাছে ভনভন করতে থাকে বস্তাপঁচা শ্লোগানগুলো, দুনিয়ার মজদুর এক হও এক হও, ভাই সব ভয় নাই রাজপথ ছাড়ি নাই, জালাল মিয়ার চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র!

কিন্তু অন্যায়গুলো তো রক্তের বানে ভেসেই গ্যালো। বাক্সভর্তি অন্যায় বোঝাই করা ছিলো জুলহাজ ভাইয়ের ড্রয়িংরুমে। কোথায় যে ভেসে গ্যাছে ওই অন্যায়ের বাক্স আর স্যুটকেসগুলো, উদ্ধার করার কোনও উপায় নেই!

এখন ল্যাপটপের স্ক্রীনে মুর্দাফরাশের ফসফরাস। জ্বলছে, চকমকি পাথর থেকে, কবরের গন্ধ থেকে, ল্যাপটপে। ওয়ালপেপারের কাশফুলে জুলহাজ ভাই। এই কাশফুলগুলো কি জার্মান? নাৎসি আক্রমণের অপেক্ষা করছে? পল ক্রান্তৎজের মতো?

পল ক্রান্তৎজের বন্ধু, গ্যুণ্টার - তার প্রেমিককে খুন করেছিলো। তারপর নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে দিয়েছিলো। অবলীলায়।

গ্যালো অক্টোবরে দীপনের মৃত্যু'র পর থেকেই আমি সিনেমাটা দেখছি। আর ওই গানটা, প্রিন্সেস ক্রোকোডাইল!

Heart Full of Bells
Rings In Your Moon
Wherever you go, I see it all in you
Princess Crocodile!

সিনেমাটা তিন বছর আগেও খুঁজেছি, সীমান্ত স্ক্যয়ারে। সেদিন সন্ধ্যায়ও আমার ঘরে অন্ধকার। শুধু এক ফাঁকে মুঠোফোনটা জ্বলে উঠলো। দেখলাম মেসেজ এসেছে, স্যরি ফর দ্য ইনকনভেনিয়েন্স। উই আর ওয়ার্কিং টু ডেভেলপ আওয়ার নেটওয়ার্ক।  

যেদিন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও অস্কার পেলো, সেদিনই ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম টোটাল এক্লিপসের কয়েকটা স্টিল। লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও, কাঁচা শরীরে যেদিন সমকামী কবির অভিনয় করেছিলো নগ্ন দেহে!
টাইটানিক ছাড়া লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও'র আর কোনও প্রেমের সিনেমা নেই? কে বলেছে? ক'টা বাঙালি টোটাল এক্লিপস দেখেছে?



শুধু কেট উইনস্লেটের স্তন! লিও'র ওই নিখুঁত নিতম্বের কি হবে? সূর্যগ্রহণ, টোটাল এক্লিপস!

র‍্যাঁবো'র বইগুলোও আমার পড়া হয়নি। কারণ, আমি শর্টকাট সময়ের বাসিন্দা। হুমায়ুন আজাদ অবশ্য র‍্যাঁবোর একটা বইয়ের বাঙলা নামটা দিয়ে গিয়েছে, নরকে অনন্ত ঋতু।

দু'একবার র‍্যাঁবো'র কোট সার্চ করেছি গুগলে। ওইটুকুই আমার র‍্যাঁবোপাঠ। কিন্তু, র‍্যাঁবো তো সমকামী ছিলো! ১৮৭১ সালে শুরু হয়েছিলো টোটাল এক্লিপসের গল্প।

১৮৭১। আর আজ ২০১৬। অথচ এখনও সমকামী হতে ভয় পায় কবিরা, বাংলাদেশে।

আর কবিতা তো এখন মাখন মাখানো রুটি! কবিতা আর কাবাবে এখন কোনও পার্থক্যরেখা নেই। কাবাবগুলো দাঁতে ছেঁড়া গেলে, কবিতা যারা ভাজি করে বিক্রি করে ফেসবুকের ফুটপাতে, ভ্যানে ভ্যানে, যে কাবাবওয়ালারা- তারা পকেটভর্তি বখশিস পায়! কবিতার সঙ্গে এখন এস্ট্যাবলিশমেন্টের ঘনিষ্ঠতা। আর ক'টা দিন পরে কবিতার অফিস খুলবে মতিঝিলে আরিচায়, সাইনবোর্ডে ল্যাখা থাকবে আমাদের কোনও শাখা নেই!

র‍্যাঁবোকে কোনও দরকার নেই আপাতত। এসবের মধ্যে। বাংলাদেশে তো নয়ই! র‍্যাঁবোকে কোপানোর ইচ্ছে নেই আমার। কারুরই হয়তো নেই।

তারপরও পূর্ণ সূর্যগ্রহণ। আর সেই পুরোনো রাহুগ্রাসের গল্প।



জুলহাজ ভাই খুন হয়ে গ্যালো। জুলহাজ ভাই র‍্যাঁবো ছিলো কি না, সেটা পরের প্রশ্ন। কিন্তু জুলহাজ ভাই স্বপ্নের পান্নাগুলো মেরামত করতো। প্রায়ই।

আপাতত স্বপ্ন-টপ্ন সব নিভে গ্যাছে।
এখন আর টোটাল এক্লিপস দ্যাখার দরকার নেই। লাভ ইন থটসও না দেখলেও চলবে।

গ্যুন্টার তাও বলেছিলো,
Dear Universe, When we have cease to exist, we don't anyone to miss us or shed a single tear for us. If anyone wants to keep us in his memory, let him do so in joy.
For you see, we've did the only right thing. We lived.

ভিএলসি প্লেয়ার ক্লোজ করে দিয়েছি। আর্ট ফিল্ম আজকাল আর দ্যাখা হয় না। আফসোসও করি না।

এখন টোয়াইলাইট সাগা দেখতে যাচ্ছি, ওই ভ্যাম্পায়ারের গল্প। প্রেমিক আর প্রেমিকা, প্রত্যেকেই ভ্যাম্পায়ার। রবার্ট প্যাটিনসন ছেলেটা দেখতে সুন্দর, মেয়েটাও সেইরকম - দুই ভ্যাম্পায়ারের চুমোচুমিটাও জমে ভালোই। তাই এখন ভ্যাম্পায়ারের গল্প।

শুধু আর্ট দিয়ে চলে না যেহেতু, এন্টারটেইনমেন্টও যেহেতু দরকার।

যেহেতু খুনের বীভৎসতা, খুন দেখে কাতরে ওঠা, ঘড়ঘড় শব্দে জবাই হতে থাকা গলা দেখে চিৎকার করে ওঠাটাও- যেহেতু এখন ছেলেমানুষি! যেহেতু খুনের লাবণ্য খুঁজতে এখন বাধ্য সকল লোক, আমরা প্রত্যেকেই।
 

Fragments of Memories: Some Raw, Disorganized Nostalgia about Xulhaz Mannan

It is not just one murder. It is actually two. Xulhaz Manna, and Tonoy.

    They killed Xulhaz in his own home. If they would choose to kill him on the road instead, perhaps we could demand to build a memorial for him, at least a few decades later.
    This was an apartment house. After a few decades, it might not be there. It might be sold, damaged, demolished, reconstructed. It might not exist that long.

    I don't remember the day I first saw Xulhaz that clearly. I called him Xulhaz vai, which means brother Xulhaz.

    But perhaps it was December of 2014. He arranged a film exhibition in his home, the same home where he was killed yesterday. And I was invited there. I saved the schedule in my instagram. That's how I remember it. It was either 19th or 20th.
    Still, I don't remember whether I noticed Xulhaz vai that day or not. What I do have well-preserved in my memory was the cat. The fluffy, ash-colored fur of its body.

    I happen to be a cat lover. But I forgot to pat it that day. It belonged to him. I will never have the chance to pat it anymore. I won't go to that house. I won't need to, simply.

    This is midday over here, in Bangladesh. A few hours ago, I checked the news update again. The news said, they hurt him on his head. Not on his body. They chose the right spot. The spot that would make it sure.

    I'm grateful to the photojournalists. They did not take any picture of that. I wouldn't want to see him drenched in blood, skull cut open, the brain hanging out. I don't want to see it. I don't want that memory to exist in my mind. I would rather know him as I did. The same tall guy, with that air around him. And that attire. That would be enough.
    I don't want to remember his dead body. Not a bit.

    It was 2015. Suddenly the news came one night, that Avijit Roy is dead. He had been murdered, pretty much the same way.
    At first I couldn't believe it. Slowly, I looked into the thing.



    I stayed up all night.
    The very next morning, I was supposed to attend Youth Leadership Program that Roopban arranged. Xulhaz vai's Roopban.
    Slowly, the dawn came. 5 AM, 6 AM, 7 - the clock moved forward. I was trying to stop crying. And I stopped.
  
 One year ago, I made a girlish dress. While I was in Birishiri, a tribal area of Bangladesh, mostly remembered for a poet named Rafiq Azad. I'm not a cross-dresser. But I wanted a dress like that. I looked for it in my basket, and took it out. And I put it on, for that day.
    It was winter. So I wrapped a shawl all around my body, to hide it. I had to, if I wanted to go in public wearing it. It must not be seen or shown.

    I uncovered it an hour later, when I reached the venue. I was with Roopban, this dress would not cause much fuss there.
    I first met Xulhaz vai that morning. I knew his name, recognized his face, shook his hand. At least my memory tells me so.
  
 The next day, the last part of the program was to be held. I did not wear the dress that day.
    It was my second day with Roopban. The morning's session begun with Suchi Apa. Suchi Karim. A radical feminist, just like me. Exactly the kind of person I was looking for.
    She was such a magical creature! Her speech was hypnotizing, and mesmerizing. Feminist or not, everybody enjoyed her company. And everybody was calling her Suchi Apa, which means Sister Suchi.
   
I raised my hand to speak, in the middle of the session.
    Inwards, I was broken to pieces already by then. It was Avijit Roy's death that sucked up my soul that day.
    Somehow I managed to ask what I wanted to ask: why should we go back to our oppressor? Just because society demands us to respect them? No matter who they are, they might be our mother, our father, or whatever-  but if they are our oppressor, if they are the ones responsible for all the traumas of our life, why should we return to them? Why?
    This is not exactly what I said. But this is close enough. To what I can still remember. I just remember the first sentence vividly: why should we go back to our oppressor?

    While speaking, I had a glance at Xulhaz vai's eyes. His eyes were sparkling, literally. He looked so happy that I stood up, and I said what I wanted to say. The bliss in his eyes was telling me that.
    I won't forget that look, ever.
    It has been a year since then. I did not know him before that.

    One year is not long enough for breeding memories.
    But some memories are born anyway, in this short period of time.

    I'm just regretting one thing. If I knew he would leave the world like this, I would ask him. I would ask him, do you know Xulhaz vai, people who die this way are considered holy in the market? Do you know the people who sell victimology turn dead bodies into icons? Perhaps I did not know you that much. But do you know Xulhaz vai, after your death, you are the most divine face of this country now? Would you love me if you were still alive? Would you?

    I'm telling the truth. If I knew it would happen yesterday, I would go visit him, before the killers come. I would die with him, with pleasure.
    After all, how much blood one can take? One dead body after another, and another. I'm just watching.

    I played a song on my laptop all night. Rajprasader Bondee, which translates into The Prisoners of The Palace. Anupom Roy composed this song. This is the most beautiful song written on LGBT issue in Bengali language so far.
    And I watched a film. In high volume, so that anyone awake nearby could hear the dialogs. Chitrangada, a film of Rituparno Ghosh - perhaps he needs no introduction.
    This is all I could do. So I did what was within my ability.

    I searched for another song, Pokkhiraj, which means Pegasus. A song written by a band, named Cactus. I couldn't find it. Not even on Youtube. It was another gay song I loved.
    This is how my night has passed.

    After waking up, I discovered I'm crying.
    It didn't take long before the tears dried up. But I was still feeling totally
    stiff. My mind, my body, all were stiff. I was still feeling moonstruck. Only my fingers were making the fork dance on the plate. Grain by grain, I was eating. It took me half an hour to finish a plate of rice.
    This was way too much distress than usually what I feel. Too much fatigue. I rarely feel like it. I rarely feel this things this strobgly.

    The memories came on their own.
    It was Pohela Baisakh of Last Year, the first day of Bengali New Year. Xulhaz vai invited me to Roopban's gay pride.
    That day, I had to locate them by asking them repeteadly on phone where they are. They were on the streetside gallery in Shahbagh, called Chobir Hat. Xulhaz Vai was busy with the props & costumes for the rally. He was having a rough time managing them properly.
  He told me clearly, "No sarcasm for today, Tamoso! Not today, not one."
   "Okay! Fine!" I said. I got busy with another friend.
   I didn't talk much with Xulhaz vai that day, either. Only one thing I remember vaguely, the bag he was carrying on his back had the flag of America on it. Or perhaps, it was his tee-shirt. I don't remember which one. Either of them.
         When I got back home, I saw the news. There has been a rape attempt right at the place where we gathered. Just a few minutes after I left that place.

    This was April. I went to Roopban's program in the month before that as well. In 27 Number of Dhanmondi. They published a poetry collection, called Rupongti. As much as I can remember, they invited the poets to recite their work that evening. I too got invited, without having a poem published in that book.
    I took a copy, got home, and finished reading it.
    That book is now resting somewhere in my attic, amidst the cobwebs. I will have to find it. I definitely will.
    Xulhaz vai also wrote a poem. And I do remember one or two lines from it. Something like this: "Some says, on the other side of the river, there lives my beloved mermaids, too."

    Two months after Pahela Baisakh, I got another invitation from Roopban. Ramadan was going on, and it was an Iftar Party.
    As always, he invited us all to his home.
    At that time, my kitchen was messy. I was living alone, and I could never manage my errands. Still, I cooked some sweets for the party.

    When I entered his home, six or seven people were present there. They were playing cards. Not exactly traditional cards. It was UNO. A game I never heard about before. The three letters, U N O, were printed on the backside of each card.
    Xulhaz vai asked, "Wanna play with us?"
    I declined. I said, "I don't know the game."
    "It's easy. Just watch for a while, and you will learn how to play it."
    But I did not play. I took a book instead. A magazine or something, on Nepal or Bhutan.
   
That room was always dimly lit. I went to his home twice. Both times, he kept a faint, though rather lovely light there, coming from a lampshade. I was reading that mag with the help of it.
Suddenly, somebody switched it off.
         "Hey, mister! I was reading it!"
    Xulhaz vai said sorry, and put on the light again.
  
 Then came the Last Letter Game. The usual rule of this game is, one has to start a song with the same letter with which the last song has ended. Somebody proposed to modify the game a bit. Perhaps it was me bringing up the proposal. Perhaps. I don't remember.

    We decided we would play with film names instead. Everyone would try to tell a film's name using signal language. His team members have to decipher it.
    One of them whispered a name in my ear, Jara Bristhite Vijechilo. They drenched in the rain. The name translates into something like that.

    I tried my skill best. Xulhaz vai, Tonoy vai, everyone tried to figure out what I was telling them. Rain, Drenched in Rain, Umbrella, Them, Those people etc etc - they did come up with the almost accurate words. But no one got the actual name of the film.

    After this, we went to the dinning table. This was dinner time. I made a small trouble. While taking the food on my plate, I dropped some on the floor. Everyone got irritated. And they were asking who did this.
    I did confess to some, it was me.
    Someone came, and wiped it off from the floor with a tissue. Was it Xulhaz vai? Might be. He is gone now, probably each one in my memory is now looking like him. It might be someone else, too.
  
 After finishing the dinner, we came back to the drawing room again.
    Xulhaz vai asked me, "What do you do all day?"
    "Well, I just roam around, here and there. With this guy or that. Anyone I can lay my hands on, at all."
    I did give him a vulgar reply like this. We talked for a few more minutes, I guess.
 
  This was the last time I saw him. I did not know it was going to be the last time.
 
  But I did talk with him after that, on Facebook.
    I chatted with him for hours, sitting in a cyber cafe, after a few weeks or months.
    I will keep those messages. Its impossible to erase them. Because it was him, in those messages.
    We last talked ten days ago.

    It was Pahela Baisakh again. And he invited me to the Gay Pride. And I wanted to go.
    At first I wanted to print a tee-shirt for the occasion. I wanted to have the cover of Avijit Roy's book, Samokamita - printed on it. The title of that book translates into homosexuality, the first book ever written on this subject in this country.
  
 I tried to make a tee-shirt like that. I couldn't. People who work in the tee-shirt printing business were either not available, or the cost was too high. So I had to settle for a rather ordinary tee-shirt this time, though it was new.

    The Facebook event said the Pride rally would start at 7:30 AM. I reached at Shahbagh fifteen minutes later. The street side gallery was locked.
    I looked for them everywhere. From this corner to that. They were nowhere to be found.
    I gave Xulhaz vai a message, and told him I did come, but I couldn't find them. So I am leaving.
   
After I got home, I got the news. Four had been arrested from Roopban's rally.
    Xulhaz vai replied to my message two days later.
    That was the last word I heard from him.
   
One by one, ten days have passed since then. One two three four five six... One by one.
    Three days ago, I heard a noise on the roof of my kitchen. A bird was flapping its wings.
    I went to the roof, to see what's the matter. I knew the bird was being hunted down. Either a cat, or an eagle - something was hunting it. But there was no sign of blood. But the bird did fall off from the roof, before I reached there. It was just a bird, nothing else.
  
 Last evening, suddenly I saw a status on Facebook. It said, two had been murdered, along with the editor of Roopban.
    I went to the Facebook page of Roopban right away. Only one article came since then. Dhaka Tribune published it.
    And the evening darkened, I looked around. All the lights nearby were blown out.
    It blacked out.
    I went to the roof.
    I was just walking, and asking myself, "Aren't you feeling anything Tamoso? Where's the grief?"
    I don't know what name is proper for these feelings, grief or something else. Soon enough, an emptiness devoured me.
    I've finished three packets of cigarettes already. I do have a little vodka left in a bottle. I'm thinking whether I should finish it as well.
 
  Xulhaz vai is dead.
    I won't celebrate any Pahela Baisakh ever again. No one will look for me that day, to the least.
    The newspaper said, he will be buried today. Well, I don't want to go.
    Life moves on. Death is lonesome. One has to go away alone.
  
 I saw some people commented on his last status, hope this brings real change in Bangladesh.
    What change? There's nothing to change, and nothing  will.

    These memories are totally personal.
    If I could, I would write a song on him. Or an elegy or something. But no music is coming to me at this moment. With blood before your eyes, music takes leave.

    Now I'm waiting for one another invitation from Roopban. For a protest rally.

    People are protesting his murder in America. Why won't we protest in Bangladesh? No matter how little, there will be some protest somewhere.
    And then, people will forget him. When the time comes.
    But will I ever forget him? Will I ever be able to?

    I will have to carry on this death all my life. As long as I live. I won't be able to forget it, even if I want to. Besides, there's no need to forget it.

    I did want to write it all a little more neatly. I couldn't neaten 'em up. It's
    not happening, at this moment.

    Now the lights are out again. The sun is blazing. Burning. The earth is burning, too.
    Only a little heat is touching my body. A few fangs of fire.
    Just a little hot air, carrying the breath of the dragon far away.

4:11 PM
26 April 2016

তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে তদন্ত কমিশনের রিপোর্টঃ জাহের ওয়াসিম এবং য়চিনপুর দোষী সাব্যস্ত

একপাল পুরুষ লেগেছে
জেনে রেখো, সিফিলিস

Image and video hosting by TinyPic

(দেখি দেখি, দেখতে না পাই)

আইনস্টাইন বলেছেন -
মানসিক সমস্যা হল একই কাজ বারবার ঘুরেফিরে করে যাওয়া এবং ভিন্ন ভিন্ন ফলাফল আশা করা জাহের ওয়াসিম আর য়চিনপুরের অ্যাটিচিউড দেখে সেই কথাটা বারবার করে মনে পড়ে গেল এই দুই ব্যাক্তি তসলিমা নাসরিনের নাম করে কতগুলো ভুয়ো কবিতা ছাপিয়ে যাচ্ছে ইন্টারনেটে। দাবি করছে সবক'টাই নাকি 'দেশ' পত্রিকা থেকে বেরুনো 'দেশ' পত্রিকার কোন সংস্করণ থেকে নেয়া, কোথাও তার উল্লেখ নেই এর মধ্যে এরা একটা ব্লগ খুলেছে, এবং সেখানে ভুয়ো কবিতাগুলো ছাপিয়েছে ভুয়ো কবিতাগুলো এরকম -

মৌলবাদ ও আমি


মৌলবাদের হিংস কালো থাবায়
কাঁপছে জনমানুষ - বিশ্ব যৌনাংগ,
অদ্ভুত জ্বর ঘিরে রেখেছে মাতৃভূমি
দেহের সাদা স্তন।

মায়েদের আচলের ছায়ায়
এখন আর শীতলতা নেই
ছায়ার অন্তরালে থাকে কুৎসিত হায়েনা।
মৌলবাদের হীন রক্ত লেগে থাকে
কমোডের নোংরা আবর্জনার মত
যদিও ওসবের শেকড় আছে, মৌলবাদের তাও নেই।

মাতৃভূমির পিচ ঢালা পথে ওদের উলঙ্গ তলোয়ার
অশূচি অনুভূতি ঘিরে ধরে বাংলার জল, কোমল আশ্রয়ে।

মাতৃস্তন বঞ্চিত আমি

আমার দেশ আমার মা
যার স্তননিঃসৃত রস থেকে আমি বঞ্চিত
বঞ্চিত আমি টিউবাকৃতির যৌনাংগবিহীন নারীদের মত
যারা দুটি উঁচু পিরামিড নিয়েও পুরুষের সমাজতন্ত্রের শিকলে
খাঁচায় বন্দী বন্যপাখি।

বঞ্চিত আমি আমার দেশের মাটির গন্ধ থেকে
যে মাটিতে শহীদের মৃত আত্নার রক্ত চুইয়ে চুইয়ে পড়ে
যেমনি করে নারীদেহ থেকে মাসে মাসে কিছু অজ্ঞাত ব্যাংক বিল জমা পড়ে।

বঞ্চিত আমি স্বজাতির ঘৃনাভরা ভালোবাসা থেকে
যারা অদৃশ্য চুরি নিয়ে
আমার বাক্যহননে মত্ত হয়ে থাকে।
অথচ আমার বাক্য ফ্রয়েড কিংবা লেনিনের ক্ষুরধার খঞ্চর হয়ে
ওদের বুককে রক্তাক্ত করে।

স্বজাতির পথে আমি দীর্ঘযাত্রায় চেয়ে থাকি
অথচ প্রতিদিন একটি করে চাকারবাহন চলে যায়;
আমাকে ছেড়ে অক্ষম পুরুষের মত
আমি মাতৃস্তন বঞ্চিত হয়ে পড়ে রই একা।

ছিদ্রযুক্ত প্রেম

এ যুগের প্রেম মানে কি নারীদেহের আনাচে কানাচে ঢুঁ মারা?
মথিত স্তনবৃন্তের কুৎসিত ছোয়া
ফোনের ছিদ্র দিয়ে যৌনভ্রমন?
কিংবা নারীর মাসভিত্তিক লোহের আস্বাদন?

তরুনী মেয়েদের অন্তর্বাসের মাপ নেয়া
অথবা প্রেমিকার গোপনাঙ্গে মৃদু চুম্বন?

ধর্ষন নাকি বিয়ে


বিয়ে নামক রীতিসিদ্ধ নারীধর্ষনকে ধিক্কার
যদিও অবলা নারীরা ধর্ষিত হতেই ভালোবাসে।

বাসর- যৌনাংগের ছানাছানি ব্যতীত আর কী বা?
নারীর লক্ষ বছরের আগলে রাখা পর্দা ফাঁটানোর আর্তনাদ-
পুরুষ যন্ত্রটির আনন্দোউল্লাস!

সংসার- নারীর জন্য সমাজতন্ত্রের গঠিত শিংকল
যারা একটি যৌনাংগ দিয়ে সমগ্র পৃথিবী শাসন করে চলে।

মৌলবাদীরা বিয়ে করে ধর্ষন করে তাতে পাপ হয়না
কিন্তু অবিবাহিত ধর্ষকের মুন্ডুক ছিন্ন করতে ওদের বাধেঁনা।

নিশ্চুপ বালিকার বাসর

বাসর মানে অবলা কিশোরীস্তন নিয়ে নিষ্ঠুর পুরুষের
দু'হাতের ছানাছানি;
যৌনাংগের অস্হির আস্ফালন,
অন্ধকারে বালিকাগুলো নিঃশব্দ আর্তচিত্কার করে করে-
দিনে দিনে নারী হয়ে উঠে।

মাসিকের ডেট এলেও,
নারীঅংগগুলো মুক্তি পায়না
এইসব নির্যাতন থেকে।
মাসিকটা কেন যে নারীর একান্ত সম্বল করে পাঠালেন-
পুরুষতান্রিক বেকুব বিধাতা।

সুফিয়া আপারা নারীমুক্তি এনেছেন
অথচ নারীদেহ
আজও অবরূদ্ধ
সৈরাচারী পুরুষের- যৌনাংগের নিচে।
সত্যিকার নারীমুক্তি আসবে কবে?

নয় আর ঘরের কোণে

নারীর পদযাত্রা ক্রমে ধীরগতি হয়ে আসে
হাজার মাইল দীর্ঘবাঁধা চোখের কোণে ভাসে
তবু নারী এগিয়ে যাও
পুরুষের শিয়র থেকে অসীমে হারাও।

তোমাকে আজ দাঁড়াতে হবে, পুরুষতন্ত্র মাড়াতে হবে
হাজার বছরের শিংকল ছেড়ে পা দু'টো বাড়াতে হবে।
প্রেতাত্নার ন্যায় পুরুষের বক্ষতলে নয়
মানুষ হিসেবে মাথা উঁচু করতে হয়।

তুমি লজ্জার আবরণে আর কতকাল-
গৃহকোণের নারী ধর যুগের হাল।

অন্ধকার কোণ থেকে আর নয় আর্তচিৎকার
তোমার ইজ্জত নয় হারাবার।

মদির আহ্বানে

অন্ধকার রাত্রি আকাশে ঘন মেঘ আমি একা,
দীর্ঘদিন পাইনা মৌলবাদ ঘেরা স্বদেশের দেখা।
ধর্মের অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে ওরা দুর্গ গড়ে
এদের হাতে নারীর ইজ্জ্বত লুটে পড়ে।
পাপী বিধাতা এদের পাঠিয়েছে অস্ত্রস্বরূপ নিষ্ঠুর যৌনাংগ দিয়ে
যেখানে সতত নারী পিষ্ঠ হয় জিয়ে জিয়ে।

আমি তবুও স্বদেশের পানে দেয়ে থাকি
অনেক পাখিরই নীড়ে ফেরা বাকি।
ওখানে পড়ে আছে লাঞ্চিত মেয়েদের গোপন রক্ত
সারা দেশ আজ কলুষতায় আসক্ত।
কমিউনিজমের পেতাত্না বিশ্বে করেছে ভর
মেয়েদের স্তনে নেমে এসেছে ধর্ষনের জ্বর।

কোন দেশ কোন কাল পারেনি নারীর অশ্রু মুছে দিতে
এখনো অন্ধকারে পুরুষ টানে নারীর সালোয়ারের ফিতে।

এর একটাও তসলিমা নাসরিনের কবিতা না

নেই, কিছু নেই

সত্যি সত্যি তসলিমা নাসরিনের লেখা কিছু কবিতা নিচে দিলাম -


Image and video hosting by TinyPic

(ফিরে যেতে চাই বারেবার, ডাকছে আমার ইচ্ছেগুলো)

মা, এবারের শীতে

শীত আসছে, উঠোনে শীতলপাটি বিছিয়ে এখন লেপ রোদে দেবার সময়
মা আমার লেপ-কম্বল রোদে দিচ্ছেন, ওশার লাগাচ্ছেন, কোলবালিশে তুলো
ভরছেন - উঠোনে তুলো ধুনছে ধুনরিরা...
শীত এলেই মা'র এমন দম না ফেলা ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায়
এবারের শীতেও রোদে শুকোনো লেপ এনে বিছানায় গুছিয়ে রেখেছেন মা
এবারের শীতেও আচারের বয়াম রোদে দিচ্ছেন,
এবারের শীতেও ভাপা পিঠে বানাবার হাঁড়ি ন্যাকড়া জোগাড় করছেন
কার জন্য? কে আছে বাড়িতে যে কিনা সারা শীত লেপের তলায় গুটি মেরে, মনে
মনে চমৎকার চাঁদের আলোয়, অরণ্যে, কাঠখড় কুড়িয়ে আগুন তাপায়, আমি
ছাড়া!

কে আছে বাড়িতে যার জন্য মিনিট পর পর ধোঁয়া ওঠা চা, মুড়ি ভাজা, আর
দুপুর হতেই আম বা জলপাইয়ের আচার-
ভোরের খেজুর-রস আর পিঠেপুলি- কার জন্য!

এবারের শীতে আমি স্ক্যানডেনেভিয়ায়, বরফে আর অন্ধকারে ডুবে আছি
জানি, ফেরা হবে না আমার, মাও তো জানেন ফেরা হবে না, রোদ পড়া উঠোন
আর নকশি কাঁথায় ন্যাপথলিনের ঘ্রাণের ওপর পাশের বাড়ির বেড়াল এসে শোবে
এত জেনেও মা কেন রোদে দিচ্ছেন আমার কাঁথা-কাপড়, লেপ, কার্পাস তুলোর
বালিশ!
এত জেনেও মা কেন ডুকরে কেঁদে ওঠেন ফোনে, যখন আমি পৃথিবীর শেষ প্রান্ত
থেকে সুখবর দিই- 'ভাল আছি'

অবুঝ আমার মা, আঙুলের কড়ায় গোনেন দিন, বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকেন
অপেক্ষায় আর আচমকা প্রশ্ন করেন 'কখন আসছ তুমি? তুমি তো ঘুমোবে
এখানে, তোমার বিছানায়, গল্প শুনতে শুনতে নন্দীবাড়ির ভূতের আর বনের কাঠুরের আর
ব্যাং রাজকুমারের আর...

মা কি আগামী শীতেও আমার জন্য আবার রোদে দেবেন লেপ-তোশক, আচারের
বয়াম,
আর দরজায় টোকা পড়লে বঁটিতে মাছ রেখেই দৌড়ে দেখবেন আমি কি না!

(এই কবিতাটি "নির্বাসিত নারীর কবিতা"" কাব্যগ্রন্থে আছে)

Image and video hosting by TinyPic

(নয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাঁই)

তুমি একটা কবরে শুয়ে আছ

মা কাঁপছে শীতে, কেউ একটি লেপ পৌঁছে দিচ্ছে না মাকে,
মা'র ক্ষিদে পাচ্ছে, কেউ কোনো খাবারও খেতে দিচ্ছে না,
অন্ধকার গর্তে শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে মার
একটু আলো পেতে, হাওয়া পেতে, শুকনো জিভে একফোঁটা জল পেতে
কাতরাচ্ছে মা, বেরোতে চাইছে,
কেউ তাকে দিচ্ছে না
মা ছিল মাটির,
জ্যান্ত মানুষগুলো সব পাথর

মা তুমি একটি পাখি হয়ে এই পাথুরে পৃথিবী ছেড়ে
অন্য কোন গ্রহে কোনো পাখির দেশে চলে যাচ্ছ না কেন !
তোমার সঙ্গে দেখা হবে না আমার, নাহোক
তবু জানব তুমি ভাল আছ

("নেই, কিছু নেই" থেকে নেয়া)

Image and video hosting by TinyPic

(বল না কতদিন আমি দেখি নাই তোমারে)

মায়ের কাছে চিঠি

কেমন আছ তুমি? কতদিন, কত সহস্র দিন তোমাকে দেখি না মা, কত সহস্র দিন তোমার কন্ঠ শুনি না, কত সহস্র দিন কোনো স্পর্শ নেই তোমার
তুমি ছিলে, কখনও বুঝিনি ছিলে
যেন তুমি থাকবেই, যতদিন আমি থাকি ততদিন তুমি - যেন এরকমই কথা ছিল
আমার সব ইচ্ছে মেটাতে যাদুকরের মত কখন আমার ক্ষিদে পাচ্ছে, কখন তেষ্টা পাচ্ছে, কি পড়তে চাই, কী পরতে, কখন খেলতে চাই, ফেলতে চাই, মেলতে চাই হৃদয়, আমি বোঝার আগেই বুঝতে তুমি
সব দিতে হাতের কাছে, পায়ের কাছে, মুখের কাছে থাকতে নেপথ্যে
তোমাকে চোখের আড়ালে রেখে, মনের আড়ালে রেখে যত সুখ আছে সব নিয়েছি নিজের জন্য
তোমাকে দেয়নি কিছু কেউ, ভালবাসেনি, আমিও দিইনি, বাসিনি
তুমি ছিলে নেপথ্যের মানুষ তুমি কি মানুষ ছিলে? মানুষ বলে তো ভাবিনি কোনোদিন,
দাসী ছিলে, দাসীর মত সুখের যোগান দিতে
যাদুকরের মত হাতের কাছে, পায়ের কাছে, মুখের কাছে যা কিছু চাই দিতে, না চাইতেই দিতে
একটি মিষ্টি হাসিও তুমি পাওনি বিনিময়ে, ছিলে নেপথ্যে, ছিলে জাঁকালো উৎসবের বাইরে নিমগাছতলে অন্ধকারে, একা তুমি কি মানুষ ছিলে ! তুমি ছিলে সংসারের খুঁটি, দাবার ঘুঁটি, মানুষ ছিলে না
তুমি ফুঁকনি ফোঁকা মেয়ে, ধোঁয়ার আড়ালে ছিলে, তোমার বেদনার ভার একাই বইতে তুমি, তোমার কষ্টে তুমি একাই কেঁদেছ কেউ ছিল না তোমাকে স্পর্শ করার, আমিও না
যাদুকরের মত সারিয়ে তুলতে অন্যের অসুখ-বিসুখ, তোমার নিজের অসুখ সারায়নি কেউ, আমি তো নইই, বরং তোমাকে, তুমি বোঝার আগেই হত্যা করেছি

তুমি নেই, হঠাৎ আমি হাড়েমাংসেমজ্জায় টের পাচ্ছি তুমি নেই যখন ছিলে, বুঝিনি
ছিলে যখন ছিলে, কেমন ছিলে জানতে চাইনি তোমার না থাকার বিশাল পাথরের তলে চাপা পড়ে আছে আমার দম্ভ
যে কষ্ট তোমাকে দিয়েছি, সে কষ্ট আমাকেও চেয়েছি দিতে, পারিনি কি করে পারব বল! আমি তো তোমার মত অত নিঃস্বার্থ নই, আমি তো তোমার মত অত বড় মানুষ নই

(এই কবিতাটা কাব্যগ্রন্থ "খালি খালি লাগে" তে প্রকাশিত, নিচের ভিডিওটায় তসলিমা নাসরিনকে এই কবিতাটার ইংরেজী আবৃত্তি করতে দেখতে পারবেন)




Image and video hosting by TinyPic

(ভাল নেই, ভাল থেকো)

একবিন্দু মা

অনেকে আমার মা হতে চেয়েছে, অনেকে বাবা
অনেকে মামা কাকা খালা ফুপু
অনেকে যেসব বন্ধু, যাদের হারিয়েছি

চেষ্টা চরিত্তির করে অনেকে বাবা হয়েছে অনেকটাই
কষ্টে সৃষ্টে মামা কাকা খালা ফুপু
অনেকে বন্ধু হয়েছে নিমেষেই, কায়ক্লেশে নয়
মা হতে অনেকে চেষ্টা করেছিল, মা হতে সেই অনেকের পর
আরও অনেকে চেষ্টা করেছিল
সেই আরও অনেকের পর অনেকে দিনের পর দিন অকথ্য পরিশ্রম
করেছিল মা হতে তবু কেউ মা হতে পারেনি
ছিটেফোঁটা মা কেউ হতে পারেনি
এক ফোঁটা মা কেউ হতে পারেনি
এক বিন্দু মা হতে পারেনি

(এই কবিতাটা প্রকাশিত হয়েছিল কাব্যগ্রন্থ "ভালোবাসো ? ছাই বাসো" তে)

Image and video hosting by TinyPic

(মা নেই। আরা বছর আমি কাঁদলেই কার কী)

একটি অকবিতা

আমার মা যখন মারা যাচ্ছিলেন, সকালবেলা স্নান করে জামা জুতো পরে ঘরবার হলেন বাবা, চিরকেলে অভ্যেস বড়দা সকালের নাস্তায় ছ'টি ঘিয়েভাজা পরোটা নিলেন, সঙ্গে কষানো খাসির মাংস, এ না হলে নাকি জিভে রোচে না তাঁর ছোড়দা এক মেয়েকে বুকে মুখে হাত বুলিয়ে সাধাসাধি করছিলেন বিছনায় নিতে সারা গায়ে হলুদ মেখে বসেছিলেন বড়বউদি, ফর্সা হবেন; গুনগুন করে হিন্দি ছবির গান গাইছিলেন, চাকরবাকরদের বলে দিয়েছেন ইলিশ ভাজতে, সঙ্গে ভুনা খিচুড়ি
ভাইয়ের ছেলেগুলো মাঠে ক্রিকেট খেলছিল, ছক্কা মেরে পাড়া ফাটিয়ে হাসছিল মন ঢেলে সংসার করা বোন আমার স্বামী আর কন্যা নিয়ে বেড়ায়ে বেরোল শিশুপার্কে মামারা ইতিউতি তাকিয়ে মা'র বালিশের তলে হাত দিচ্ছিল সোনার চুড়ি বা পাঁচশো টাকার নোট পেতে খালি ঘরে টেলিভিশন চলছিল, যেতে আসতে যে কেউ খানিক থেমে দেখে নেয় তিব্বত টুথপেস্ট নয়তো পাকিজা শাড়ির বিজ্ঞাপনআমি ছাদে বসে বসে সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে নারীবাদ নিয়ে চমৎকার একটি কবিতা লেখার শক্ত শক্ত শব্দ খুঁজছিলাম

মা মারা গেলেন
বাবা ঘরে ফিরে জামাকাপড় ছাড়লেন বড়দা খেয়ে-দেয়ে ঢেঁকুর তুললেন ছোড়দা রতিকর্ম শেষ করে বিছানা ছেড়ে নামলেন বড়বউদি স্নান সেরে মাথায় তোয়ালে পেঁচিয়ে ইলিশ ভাজা দিয়ে গোগ্রাসে কিছু খিচুড়ি গিলে মুখ মুছলেন ভাইয়ের ছেলেগুলো ব্যাট-বল হাতে নিয়ে মাঠ ছাড়ল স্বামী-কন্যা নিয়ে বোনটি শিশুপার্ক থেকে ফিরল মামারা হাত গুটিয়ে রাখলেন আমি ছাদ থেকে নেমে এলাম ছোটরা মেঝের আসন পেতে বসে গেল, টেলিভিশনে নাটক শুরু হয়েছে বড়দের এক চোখ মায়ের দিকে, আরেক চোখ টেলিভিশনে মায়ের দিকে তাকানো চোখটি শুকনো, নাটকের বিয়োগান্তক দৃশ্য দেখে অন্য চোখে জল

("জলপদ্য" কাব্যগ্রন্থে বেরিয়েছিল কবিতাটি)

Image and video hosting by TinyPic



(মানুষটি ছিল, মানুষটি নেই)

মা কষ্ট পেলে আমাদের কিছু যেত আসত না

আমার একটি মা ছিল,
চমৎকার দেখতে একটি মা,
একটি মা আমার ছিল

মা আমাদের খাওয়াত শোয়াত ঘুম পাড়াত,
গায়ে কোনও ধুলো লাগতে দিত না, পিঁপড়ে উঠতে না,
মনে কোনও আঁচড় পড়তে দিত না
মাথায় কোনও চোট পেতে না
অথচ
মাকে লোকেরা কালো পেঁচি বলত,
আমরাও
বোকা বুদ্ধু বলে গাল দিতাম মা'কে
মা কষ্ট পেত
মা কষ্ট পেলে আমাদের কিছু যেত আসত না

আমাদের কিছুতে কিছু যেত আসত না,
মা জ্বরে ভুগলেও না,
মা জলে পড়লেও না,
মা না খেয়ে শুকিয়ে ত্যানা হয়ে গেলেও না,
মা'কে মা বলে মনে হত, মানুষ বলে না
মা মানে সংসারের ঘানি টানে যে
মা মানে সবচেয়ে ভাল রাঁধে যে, বাড়ে যে,
কাপড়-চোপড় ধুয়ে রাখে গুছিয়ে রাখে যে
মা মানে হাড়মাংস কালি করে সকাল-সন্ধে খাটে যে
যার খেতে নেই, শুতে নেই, ঘুমোতে নেই
যার হাসতে নেই

যাকে কেবল কাঁদলে মানায়
শোকের নদীতে যার নাক অব্দি ডুবে থাকা মানায়
মা মানে যার নিজের কোনও জীবন থাকতে নেই
মা ব্যথায় চেঁচাতে থাকলে বলি
ও কিছু না, খামোকা আহ্লাদ
মরে গেলে মাকে পুঁতে রেখে মাটির তলায়,
ভাবি যে বিষম এক কর্তব্য পালন হল

মা নেই
আমাদের এতেও কিছু যায় আসে না

(এই কবিতাটিও "জলপদ্যে"র )


Image and video hosting by TinyPic

(জীবন মরণের সীমানা ছাড়ায়ে)


আমার মনুষ্যত্ব

নিজের মাকে কখনও বলিনি ভালবাসি
অন্যের মাকে বলেছি,
নিজের মা'র অসুখ কোনওদিন সারাইনি,
অন্যের মা'র সারিয়েছি
নিজের মা'র জন্য কাঁদিনি, অন্যের মা'র কষ্টে কেঁদেছি
এই করে করে জগতের কাছে উদার হয়েছি
তার পাশে কখনও বসিনি, যে ডাকত
একটি হাত ভুলেও কখনও রাখিনি তার হাতে,
একটি চোখ কখনও ফেলিনি সেই চোখে

সবচেয়ে বেশি যে ভালবাসত, তাকেই বাসিনি
যে বাসেনি, তাকেই দিয়েছি সব, যা ছিল যা না ছিল
এই করে করে মহান হয়েছি,
মানুষের চোখে মানুষ হয়েছি

(এই কবিতাটি "খালি খালি লাগে" কাব্যগ্রন্থের)

Image and video hosting by TinyPic

(ঠিক যেভাবে গেছ)

দুঃখবতী মা

মা'র দুঃখগুলোর ওপর গোলাপ-জল ছিটিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে ছিল,
যেন দুঃখগুলো সুগন্ধ পেতে পেতে ঘুমিয়ে পড়ে কোথাও
ঘুমটি ঘরের বারান্দায়, কুয়োর পাড়ে কিম্বা কড়ইতলায়
সন্ধেবেলায় আলতো করে তুলে বাড়ির ছাদে রেখে এলে
দুঃখগুলো দুঃখ ভুলে চাঁদের সঙ্গে খেলত হয়তো বুড়িছোঁয়া খেলা

দুঃখরা মা'কে ছেড়ে কলতলা অব্দি যায়নি কোনওদিন
যেন এরা পরম আত্মীয়, খানিকটা আড়াল হলে বিষম একা পড়ে যাবেন মা;
কাদায় পিছলে পড়বেন, বাঘে-ভালুকে খাবে, দুষ্ট জিনেরা গাছের মগডালে
বসিয়ে রাখবে মা'কে-
দুঃখগুলো মা'র সঙ্গে নিভৃতে কী সব কথা বলত...
কে জানে কী সব কথা

মা'কে দুঃখের হাতে সঁপে বাড়ির মানুষগুলো অসম্ভব স্বস্তি পেত
দুঃখগুলোকে পিঁড়ি দিত বসতে,
লেবুর শরবত দিত, বাটায় পান দিত,
দুঃখগুলোর আঙুলের ডগায় চুন লেগে থাকত...
ওভাবেই পাতা বিছানায় দুঃখগুলো দুপুরের দিকে গড়িয়ে নিয়ে
বিকেলেই আবার আড়মোড়া ভেঙে অজুর পানি চাইত,
জায়নামাজও বিছিয়ে দেওয়া হত ঘরের মধ্যিখানে
দুঃখগুলো মা'র কাছ থেকে একসুতো সরেনি কোনওদিন

ইচ্ছে ছিল লোহার সিন্দুকে উই আর
তেলাপোকার সঙ্গে তেলোপোকা আর
নেপথলিনের সঙ্গে ওদের পুরে রাখি
ইচ্ছে ছিল বেড়াতে নিয়ে গিয়ে ব্রহ্মপুত্রের জলে, কেউ জানবে না,
ভাসিয়ে দেব একদিন
কচুরিপানার মতো, খড়কুটোর মতো, মরা সাপের মতো ভাসতে ভাসতে দুঃখরা
চলে যাবে কুচবিহারের দিকে...
ইচ্ছে ছিল

দুঃখগুলো মা'র সঙ্গে শেষ অব্দি কবর অব্দি গেছে,
তুলে নিয়ে কোথাও পুঁতে রাখব অথবা ছেঁড়া পুঁতির মালার মতো ছুড়ব
রেললাইনে, বাঁশঝাড়ে, পচা পুকুরে হল কই?
মা ঘুমিয়ে আছেন, মা'র শিথানের কাছে মা'র দুঃখগুলো আছে,
নিশুত রাতেও জেগে আছে একা একা

(এটাও "জলপদ্যে"র কবিতা)

ভুতের গল্প

Image and video hosting by TinyPic

(কি তোমার রুপের ঝলক)

জাহের ওয়াসিমের দেয়া একটা কবিতা প্রথম পড়েছিলাম সামহ্যয়ারইনে, সাথে সাথে প্রতিবাদ করেছিলাম জুলাই মাসের পুরো এক সপ্তাহ গেছে আমার তসলিমা নাসরিনের দেশাত্মবোধক কবিতাগুলো টাইপ করে উঠতে সেই কবিতাগুলো দিয়েছিলাম আমারব্লগে আর প্রথম আলো ব্লগেও দেখিয়েছিলাম যে জাহের ওয়াসিমের দেয়া কবিতাটা তসলিমা নাসরিনের নয়, জাহেরেরই লেখা সামহ্যয়ারইনে একসাথে অতগুলো কবিতা দেয়া যায়নি, তাই লিঙ্ক দিয়ে দিয়েছিলাম কে জানে না, এরপর জাহের ওয়াসিম আমার ওপর বিষম ক্ষেপবে? রেগেমেগে সে আমাকে ভুল বানানে পত্র দিল ফেসবুকে -

এই বেকুব তোর সমস্যাটা কি?
অনেকদিন মনে হয় বানানি কাস না(বক্তব্য উদ্ধার করা যায় নি এই বাক্যের)
কবিতা পড়ছস কয় পিস জীবনে?
তুই ঢাকা কলেজের সামনে আয় আমি তোরে রেফারেন্স দিচ্ছি?
তোর তোর পাছা দিয়া দিমু


আমি উত্তরে লিখলাম -
বাহ! দারুণ মেসেজ! এটার স্ক্রীনশটটা আমার আন্দোলনে খুব কাজে লাগবে থ্যাঙ্ক ইয়ু সো মাচ!

Image and video hosting by TinyPic

(অন্ধজনে দেহ আলো)

(এরপর আরও কয়েক দফা চিঠি চালাচালি হয়েছিল আমাদের মধ্যে আমার ফেসবুকের সে প্রোফাইলটা ডিস্যাবল্ড হয়ে যাওয়ায় স্ক্রীনশট দিতে পারলাম না তবে যতদূর মনে পড়ে, সে লিখেছিল - তুই আয় না, আয়, ভয় নাই, তুই আয়.....আমি লিখেছিলাম, তা তো আসবই, আসব না কেন? অবশ্যই আসব, তবে তার আগে জেনে নেই আপনি কোন জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করেন! আল কায়েদা হলে এক প্রিপারেশন নিয়ে আসব, জেএমবি হলে আরেক প্রিপারেশন, হিযবুত তাহরীর হলে আরেক.....সে লিখেছিল, আমি আল কায়দা না হিযবুত তাহরীর আইলেই বুঝতে পারবি, তুই আয়)

খবর জানিয়ে দিলাম সামহ্যয়ারইনে খবর শুনে কালীদাস আমায় জানালেন জাহের ওয়াসিমের মানসিক বিকৃতির খবর

কালীদাস বলেছেন: জাহের ওয়াসিম কে আমি জানিনা তবে তার কান্ডকারখানা প্রথম দেখেছিলাম আশীষ এন্তাজ রবির কারেন্ট রিলেটেড হাসিনার উদ্দেশ্যে খোলা চিঠির পোস্টে সে কাকে জানি গালিও দিয়েছিল, ঐটা আদৌ কোন লেখাই হয়নি, সবাই না বুঝে লাফালাফি করছে ৩৮৪নাম্বার কমেন্ট-টা দেখুন, আগেও মনে হয় দুচারটা আছে! Click This Link কি ভাষা, কত সাহিত্য গিয়ান তাঁর নিজে কিন্তু একলাইনও লেখেনি;)

এবং সে অনেকদিন থেকেই নীরব ব্যান খেয়েছে না, সামহোয়ারইন ছেড়েছে, কে জানে?!

Image and video hosting by TinyPic


(মুরমুরকে না দেখ মুরমুরকে)

সেই লিঙ্কে গিয়ে জাহের ওয়াসিমের এই প্রবাদ প্রবচনগুলো আবিষ্কার করলাম -

জাহের ওয়াসিম বলেছেন: বিদ্যুত নিয়া নিম্নমানের একটা লেখা লিখেই উনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাচ্ছেন! আগে লিখতে শিখেন আন্দাজে উন্দাজে দুম করে একটা কিছু লিখে ফেলবেন না ফাউল লোক কোথাকার

Image and video hosting by TinyPic


(কী চমৎকার দেখা গেল)

জাহের ওয়াসিম বলেছেন:
comment by:
এফ আই দীপু বলেছেন:
কামাল নামে একটা শব্দ আছে যার সন্ধি বিচ্ছেদ করলে এরকম দাঁড়ায় "কামের আগে আউট হয় যার মাল=কামাল"। উপাধিটা আপ্নের জন্য এ বছরের প্রথমেই বরাদ্ধ দেয়া হৈল। বিশ্বাস করেন, চলতি বছর এমন উপাধি অন্য কাউকে দেয়া হয়নাই। আশা করি কামাল নামেই আপনি প্রশান্তি পাইবেন। ধইন্যাবাদ।


ছাগু উপাধিটা তোর জন্য
বেশি কইরা মাল ফালাইয়া শান্তি অর্জন কর। তোদের মতো ছাগুতে দেশটা ভইরা গেলো তোরা দেশে থাকার অবস্থা রাখস নাই তোর মতো আবালরাই দেশটারে শেষ করলো এইসব বালমার্কা পোস্ট তোদের কাছে অনেক কিছু


Image and video hosting by TinyPic

(তুমি কেমন করে গান কর হে গুণী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি............)

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

এরপর ভেবেছিলাম ঝামেলা মিটে গেছে এরপর তো আর কেউই অস্বীকার করতে পারেনা যে ওই মহাকাব্যগুলো জাহের ওয়াসিমেরই লেখা জাহেরের ভাষার নিজস্বতা দেখেই সে কথা বুঝে নেয়া যায় কিন্তু ভূত তো অত সহজে শ্যাওড়াতলা ছেড়ে যায় না বিক্রমের ঘাড় ছেড়ে বেতাল থাকে কি করে?

ঘুরে ঘুরে ওই এক বিন্দুতে ফেরা

য়চিনপুর, (যা মনে হয় জাহির ওয়াসিমেরই আরেক আইডি বা তার ছোট ভাইয়ের) একের পর এক আমার পোস্টগুলোয় মন্তব্য করে যেতে থাকল, সবক'টাতেই তসলিমা নাসরিনের নাম করে লেখা ভুয়ো কবিতার কোন না কোন লিঙ্ক সম্ভবত এই পোষ্টেও সে একটা মন্তব্য করবে, এরপর যখন তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে পোষ্ট দেব, আবারও করবে যা যা সে করেছে.........................................................................................


পোষ্টঃ তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে জাহের ওয়াসিমের মিথ্যাচার

য়চিনপুর বলেছেন:
তসলিমা নাসরিনের লেখা

Click This Link

য়চিনপুর বলেছেন:

জাহের ওয়াসিমের লেখা পড়ুনঃ

http://www.prothom-alo.com/detail/news/23028

Image and video hosting by TinyPic

(চোখ চলে যায় দেখব তারে)

পোষ্টঃ জনৈক এক তসলিমা নাসরিন বিদ্বেষী'র চরিত্র

য়চিনপুর বলেছেন: হেহেহে

Image and video hosting by TinyPic

(আবার হবে তো দেখা, এ দেখাই শেষ দেখা নয়)

পোষ্টঃ ভালবাসা আর কতদূর ?

য়চিনপুর বলেছেন: ভাই তসলিমার একটা কবিতা দিলাম একটু দেইখেন

Click This Link

Image and video hosting by TinyPic

(তোমাকে একটু দেখতে ইচ্ছে করে)


পোষ্টঃ তসলিমা নাসরিনের কয়েকটি অসাধারণ কবিতা

য়চিনপুর বলেছেন: ভাই তসলিমা আপুর কবিতা নিয়ে একটা ব্লগ সাইট খোলা হয়েছে

http://www.toslimanasrin.blogspot.com/

পড়তে পারেন
কমেন্ট দিন

য়চিনপুর বলেছেন: ওই বেটা তোর লজ্জা আছে? না থাকলে তস্লিমার লজ্জা পড়

Image and video hosting by TinyPic

(তারা দেখেও দেখে না, তারা বুঝেও বোঝে না, তারা ফিরেও না চায়)

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার মেজাজ সপ্তম সুরে বাজতে থাকল খুব ভাল করেই জানি ব্লগটা জাহের ওয়াসিম নাহয় য়চিনপুরের (কিম্বা জাহের ওয়াসিম ওরফে য়চিনপুরের) খোলা
তসলিমা নাসরিনের কোন দরকার নেই ব্লগ খুলে কবিতা লেখার বহুত পত্রিকা প্রকাশনী তাঁর কবিতার জন্য ধর্না দিয়ে বসে আছে সবচে বড় কথা হল, য়চিনপুর কয়েকদিন আগে ব্লগ খোলা নিয়ে সাহায্য কামনা করে পোস্টও দিয়েছিল সামহ্যয়ারে

Image and video hosting by TinyPic

(চোখের আলোয় দেখেছিলেম চোখের বাহিরে)
তবু গেলাম এবং গিয়ে জাহের ওয়াসিমের অপূর্ব কাব্যপ্রতিভার জোস্না আবিষ্কার করলাম

এবং সেই সাথে আবিষ্কার করলাম জাহের ওয়াসিমের অজ্ঞানতার লোগো



Image and video hosting by TinyPic

(দেখা না দেখায় মেশা)

নামে অনেক কিছু আসে যায়


তসলিমা নাসরিনের নাম সেই লোগোতে এবং জাহের ওয়াসিমের মস্তিস্কে লেখা আছে Toslima Nasrin বানানে

Image and video hosting by TinyPic

(তাহারে দেখি না যে দেখি না)
দুনিয়াতে কোথাও এই বানানে তসলিমা নাসরিনের নাম লেখা হয় না তসলিমা নাসরিনের নামের বানান দু'টি - ভারত উপমহাদেশে Taslima Nasreen আর ইউরোপে Taslima Nasrin. তসলিমা নাসরিন নিজে Taslima Nasreen বানানটিই বেশি ব্যবহার করেন

Image and video hosting by TinyPic

(খারাপ জিনিস দেখতে নেই)

তাঁর ওয়েবসাইটে তাঁর নাম TASLIMA NASREEN/NASRIN.

Image and video hosting by TinyPic


তাঁর টুইটারে তাঁর নাম taslimanasreen.

(আমি দেখি নাই তোমারে)

Image and video hosting by TinyPic

(এখনো তারে চোখে দেখিনি, শুধু বাঁশি শুনেছি)


জাহের ওয়াসিম একবার গুগলে সার্চ দিয়েও দেখেনি, বই কবিতা পড়া তো দূরে থাক Toslima Nasrin লিখে সার্চ দিলেও তো Showing results for Taslima Nasrin. Search instead for Toslima Nasrin কথাটা দেখার কথা, আমি তো তাই দেখছি!


( এসব দেখে আমার মনে হল, ফেসবুকে আমায় খুঁজে পেতেও নিশ্চয়ই জাহেরের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল আমার নামের বানান Tamoso. নিশ্চিতই Tomoso, Tomaso, Tomos, Tamas, Tumusu, Tomusu, Tumosu, Tomaso ইত্যাকার নানা কিছু লিখে শেষকালে সে Tamoso দিয়ে ট্রাই করে পেয়েছিল আমায়!)

আকাশের ঠিকানায়

এরপরে আসে তসলিমা নাসরিনের আকাশের ঠিকানা জাহের ওয়াসিমের ব্লগের সীলমোহরে লেখা ঠিকানাটা হল toslimanasrin@gmail.com
আর তসলিমা নাসরিনের আসল ঠিকানাগুলো হল email@taslimanasrin.com,taslima.nasrin@gmail.com

তাঁর ওয়েবসাইটে একসময় taslima.nasrin@gmail.com ঠিকানাটা দেয়া থাকত সেই সূত্র ধরে ফেসবুকে আমি তাঁর আসল অবস্থানটাও খুঁজে বের করেছিলাম সেইখানে তাঁর নাম Taslima Nasreen লেখা

Image and video hosting by TinyPic

(আমি একদিনও না দেখিলাম তারে)

Image and video hosting by TinyPic

(উড়াইয়া দেখ তাই)

Image and video hosting by TinyPic

(কে জানিত হবে আমারও এমন শুভ দিন, শুভ লগন)

Image and video hosting by TinyPic

(আমি চিনি গো চিনি তোমারে)

Image and video hosting by TinyPic

(ভুবন ভ্রমিয়া শেষে)

ফেসবুকে তাঁর ভক্তদের বৈঠকঘর আর অনুরক্তদের সমাবেশগুলোর নামেও হয় Taslima Nasrin নয় Taslima Nasreen.


Image and video hosting by TinyPic

(সাতটি রঙের মাঝে আমি মিল খুঁজে না পাই)

Image and video hosting by TinyPic

(এখনো তারে চোখে দেখি নি, শুধু বাঁশি শুনেছি)

Toslima Nasrin নামে যদিও কিছু বৈঠকখানা-টানা আছে, সেগুলোতে লোক বেশি নয় বহুত ভুয়ো তসলিমা নাসরিনের আস্তানা আছে ফেসবুকে, তাদেরও নামে T এর পরে A ই ব্যবহার করা হয় বেশি O খুব কম, যারা জানে না কিছুই, তারা এই বানানে লেখে এবং জাহের ওয়াসিম তাদের একজন

জিমেইল তো তসলিমা নাসরিনের ব্যক্তিগত, এই ঠিকানায় অনেক বেশি চিঠি আসে বলেই হয়তো তিনি সাইটের কোণেই একটা ইমেইল আইডি খুলে নিয়েছেন এখন email@taslimanasrin.com ই দেখায় তাঁর সাইটে কিন্তু এখনও অন্তর্জালের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে আগের ঠিকানাটা আন্তর্জাতিক লেখক সংগঠন পেনে'র সাইটেও রয়েছে ঠিকানাটা একটা খবরে

Image and video hosting by TinyPic

(যাও পাখি বল তারে)

আমি শুধু একটা কথাই ভাবছিলাম, ওদের আল্লা মহম্মদ না ওদের মিথ্যে কথা বলতে নিষেধ করেছে? তাহলে এমনকি এই রমজানেও মিথ্যে বলল কেন ওরা?

লোকে যদি যা-ইচ্ছে-তাই বলে
বলো তাতে হচ্ছে কি কার কিছু?


সারা দুনিয়ায় ভুয়ো কবিতাগুলো ছড়িয়ে দেয়ার পণ করেছে জাহের তাই নিজের ফেসবুকের দেয়ালে সেঁটে দিচ্ছে পোস্টার আহারে, কেই বা আর প্রচার করবে, সে না করলে? লিখেছে তো সে-ই, প্রচারের দায়িত্বও তার (কি জানি, এই রিপোর্ট পড়ে আবার উঠিয়ে ফেলবে কিনা পোস্টারগুলো) তসলিমা নাসরিনকে হায়দ্রাবাদে মৌলবাদীরা মেরে ফেলতে চেয়েছিল, তাদের সাথে জাহের যোগাযোগ করতে পারে তারা জাহেরের মত এত বড় কোহিনূর হীরে পেয়ে লাফিয়ে উঠবে, আর আপসোস করবে কেন আগেই জাহেরের সাথে তাদের দেখা হল না হলে তো মিশন হায়দ্রাবাদ সাক্সেসফুল হতে পারত (নইলে তার আর কোন পোস্টের পোস্টার দেখা যাচ্ছে না কেন?)

Image and video hosting by TinyPic

(আমরা দেখেছি যারা বুনো হাঁস শিকারীর গুলির আঘাত
এড়ায়ে উড়িয়া যায় দিগন্তের নম্র নীল জ্যোৎস্নার ভিতর)


তারিখগুলোয় করে আতশ কাঁচ দিয়ে দেখুন ছবিগুলো-

Image and video hosting by TinyPic

২৩ অগাস্ট ২০১০

Image and video hosting by TinyPic

১৪ ও ১৫ অগাস্ট ২০১০

Image and video hosting by TinyPic

১৩ অগাস্ট ২০১০

Image and video hosting by TinyPic

০৮ অগাস্ট ২০১০

Image and video hosting by TinyPic

১০ এপ্রিল ২০১০

Image and video hosting by TinyPic

১৪ মার্চ ২০১০

Image and video hosting by TinyPic

১৫ জানুয়ারি ২০১০

Image and video hosting by TinyPic

০৩ জানুয়ারি ২০১০

Image and video hosting by TinyPic

২৬ ডিসেম্বর ২০০৯

Image and video hosting by TinyPic

২৫ ডিসেম্বর ২০০৯

Image and video hosting by TinyPic

১৩ ডিসেম্বর ২০০৯





নাহ, অনেক ঘাঁটাঘাটি করে আরও দু'টো পোস্টার পাওয়া গেল



Image and video hosting by TinyPic

(ঝলক দিখলাযা)

Image and video hosting by TinyPic

(বিয়োবার দেরি নাই, - রুপ ঝরে পড়ে তার)

এবার চলুন, সিনেমাগুলোও দেখি অসম্ভব র‌্যোমান্টিক এগুলো, নির্দ্বিধায় উত্তম-সুচিত্রা এগুলোর গলায় হার মানা হার পরিয়ে দেবে

Kobita
by Jaher Wasim on Saturday, August 29, 2009 at 6:36am


একটি নোংরা কবিতা

যখন আকাশ ভেংগে পড়ার মত
সব অশ্রাব্য কবিতাগুলো আমার মাথায় আঘাত হানে
আমি তখন কিছুদিন আগে গর্ভবতী তরুনীর মত বমি করে দেই
ভালো মানুষ সাজা প্রানী গুলোর গায়ে
যারা ভাবে তারা কবি, অনেক কাব্য বুঝে...
ওগুলো পড়ে থাকে যৌবনের কলংক হয়ে
আমার বাড়ির আঙ্গিনায়
অথবা যেখানে মিলেছিলাম আমরা
সেই নোংরা বিছানায়

আমার কবিতাগুলো পড়ে থাকে
ধুলোমাখা কোন রাস্তায়-টোকাইরা কুড়িয়ে নেয়
বিকিয়ে দেয় কোন রেস্তরার মালিকের কাছে
নাস্তা খাওয়ার পর হাত মুছার জন্য...

অথবা কারো টয়লেট পেপার হয়ে পড়ে
সেই সব কাব্য
কিংবা বাতাসে কোন পাগল তরুনের গায়ে এসে পড়ে সেই কবিতা
আশ্রয় খোঁজে আবার রাস্তায় বা ড্রেনে
কোন পতিতার গড়াগড়িতে মচমচ করে কবিতা

আমারি মত কোন যুবকের পাঞ্জাবীর পকেটে
দিন দিন থেকে মলিন হয়
অথবা পত্রিকা অফিসের ঝুড়িতে
এমনকি থাকতে পারে পোস্ট অফিসের কোনে সহস্র বছর ধরে
কোন এক পোস্ট মাষ্টারের কন্যা পড়ে দেখে সেই কাব্য
আর ভাবে কবি যুবকের কথা

Image and video hosting by TinyPic

(দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া)

সম্পর্কের টানাটানি
by Jaher Wasim on Sunday, August 30, 2009 at 10:25pm


সম্পর্কের দাঁড়িপাল্লাটা
ছোট হয়ে আসছে দ্রুত
আগের মত নেই
বন্দী হয়ে যাচ্ছি কুয়ার অন্ধকারে
ও ঘরের মেয়েটা
অনেক ভাবায় আমায়
আপু ডাকি
কত পবিত্রতা
অথচ স্বপ্নের মাঝে দুজনে আকাশপাতাল দেখি
অশ্লীলতার সমুদ্র পাড়ি দিই
চলে যাই অনেক দূর
তারপর তরী ডুবিয়ে দেই
ভেসে থাকতে পারিনা
ক্রমশ তলিয়ে যেতে থাকি
জগতের সব ক্লান্তি ভর করে
একা হয়ে যাই
মেয়েটাকে দেখিনা আর
শুধু দেখি ক্লান্ত অবসন্ন আমি
শুয়ে আছি বিছানায়
একা

Image and video hosting by TinyPic

(চিনিলে না আমারে কি, চিনিলে না)
...........................


Image and video hosting by TinyPic

(চোখে চোখ রাখো)

Image and video hosting by TinyPic

(দেখতে আমি পাইনি)

Image and video hosting by TinyPic

(তুমি দেখেছ কি)

গত জুলাইয়ের সাতাশের কিছু আগে সে ফেসবুকে বসতি গাড়ে
। তারপর থেকে সে এই মহৎ কর্মগুলোই করে গেছে

তসলিমা নাসরিনের ভুয়ো একটা জিমেইল আইডি খুলে সে একটা ফেসবুক আস্তনাও করেছে, সেটা দেখলেই বোঝা যায় সেটা ভুয়ো মাত্র তিনজন বন্ধু তাতে

Image and video hosting by TinyPic

(আঁখির কোণে পাখির বাসা, দেখতে নারি কি তামাশা)
আর আসল তসলিমা নাসরিনের ফেসবুকে বন্ধু ৩৬৪৫ জন

Image and video hosting by TinyPic

(চক্ষে আমার তৃষ্ণা)


এবার জাহের ওয়াসিমের মুখোশের তলের ক্কিছু মুখ দেখুন -

Image and video hosting by TinyPic

(বহুরূপী)

যদি মানুষ হয়ে না পারি, পাখি হয়েও ফিরব একদিন

তসলিমা নাসরিন দেশে নেই আজ ১৬ বছর আজও তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে অহরহ মিথ্যাচার করছে মানসিক সমস্যার শিকার কিছু মানুষ তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করে ফতোয়া দিয়ে যাচ্ছে, নিজে আজেবাজে লেখা লিখে তাঁর নামে চালিয়ে দিচ্ছে, আরও কত কি! এর মানে তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে এখনও লোকের মাথা ব্যাথা করে এখানেই তসলিমা নাসরিনের জীবনের স্বার্থকতা তিনি কারুর মাথা ঠিক করে দিয়েছেন, কারুর মাথা ব্যাথা করে দিয়েছেন যাদের মাথা ঠিক করে দিয়েছেন, তারা তো "আল্লার ওয়াস্তে" বেঁচেই গেল ওদিকে যাদের মাথা ব্যাথা হয়ে গেল, তাদের মাথা ব্যাথা জীবনেও সারবে না আইনস্টাইনের সূত্রমতে সারা জীবন ধরে তারা পাগলামি করেই যাবে

Image and video hosting by TinyPic

(তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়)

তসলিমা নাসরিনের নামের বানানটাও না জেনে যা খুশি তাই লিখে তসলিমা নাসরিনের নামে চালিয়ে দেবে, কেউ সে লেখা নকল তা যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ উৎপাদক গ.সা.গু উপপাদ্য সম্পাদ্য করে প্রমাণ করলেও থামবে না, বলেই যাবে, চেঁচাতে চেঁচাতে রসাতলে যাবে, গোল্লায় যাবে, তবু চেঁচিয়ে যাচ্ছে চেঁচিয়েই যাবে (তারা যেসব লিখবে, ওর চেয়ে অনেক বেশি ছাইভস্ম লিখে রেখে গেছে হুমায়ুন আজাদ, "সবচে সুন্দর মেয়ে দুটি হাতে টেনে......"র কাছে তো ওসব কিছুই না
হুমায়ুন আজাদ লিখলেও দোষ হবে না, তসলিমা নাসরিন না লিখলেও দোষ হবে তসলিমা নাসরিন একবার কারণটা বলেছিলেন - "তসলিমা নারী ছিল, এই ছিল সমস্যা তসলিমার মুখে অমন সব কথা মানাত না, পুরুষরা বললে মানিয়ে যায় আর, সত্য কথা হল, পুরুষের জন্য পুরুষরা বুক চিতিয়ে দাঁড়ালে মানায়, কোনও নারীর জন্য দাঁড়ালে কেমন মেনি মেনি লাগে, মাগী মাগী লাগে")


Image and video hosting by TinyPic


(বিরাজ সত্যসুন্দর)

এসবে আখেরে তসলিমা নাসরিনের কোন ক্ষতি নেই তাঁর কিছুই যায় আসবে না শুধু জাহের ওয়াসিম আল্লার (যদি সে থাকে) আর এই নষ্ট সমাজের নেকনজরে পড়বে তাতে তার ইহলোক ও পরলোকে অশেষ নেকী হাসিল হবে, অনেক স্বার্থ সিদ্ধি হবে যখন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তসলিমা নাসরিনের সব ক'টা আত্মজীবনী মানবাধিকার বিভাগে পাঠ্য হয়ে গেছে এবং পড়ানো হচ্ছে ও হবে, তখন তার ভুয়ো কবিতাগুলো পড়ে ব্লগে ব্লগে মিচকে মগজহীন কতগুলো শয়তান মুহাহাহা করে হেসে উঠছে ও উঠবে এবং এক সময় তার ও য়চিনপুরের (কিম্বা তার ওরফে য়চিনপুরের )মৃত্যু হবে ইতিমধ্যেই তসলিমা নাসরিনের নামে প্যারিসে একটা উপসালা শহর উৎসর্গ করা হয়েছে, সেখানে সারা দুনিয়ার সব নিপীড়িত লেখক সাংবাদিকেরা এসে আশ্রয় নেন আর একশ বছর পরে যখন জাহের-য়চিনপুরের কবর পড়ে থাকবে কোন অচিনপুরের পারিবারিক গোরস্থানে, হয়ত তাদের বা তার বংশধরেরাও তাদের বা তার মাজার আর জিয়ারত করবে না; কিম্বা হয়তো তাও থাকবে না, বন্যার জলে ধুয়ে যাবে মাটিহাড়গোড়, তখন তসলিমা নাসরিনের শ্বেতপাথরের ভাস্কর্য দাঁড়িয়ে থাকবে তুলুজে বার্সেলোনায় গড়িয়াহাটায় মিরপুর সাড়ে এগারোয়